বিভিন্ন দেশে, সরকারি কর্তৃপক্ষ মুসলিম মহিলাদের হিজাব পরার অধিকার দেয় না রিপস্টপ কাপড় বিদ্যালয় এবং সরকারি অফিসের মতো পাবলিক স্থানগুলিতে। এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র বিতর্ক এবং দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে এবং ধর্মনিরপেক্ষতা সমর্থকদের মধ্যে। হিজাব নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিতর্ক আছে, কিছু মানুষ এটিকে ধর্মীয় স্বাধীনতার উপর আক্রমণ হিসাবে দেখলেও অন্যদের মতে এটি ধর্মনিরপেক্ষতা এবং লিঙ্গ সমতার জন্য প্রয়োজনীয়।
এসব দেশে হিজাব নিষেধের আইনী পরিণতি মুসলিম মহিলাদের জীবনকে প্রভাবিত করে। এসব মহিলাদের সার্বজনীন স্থানে হিজাব পরার কারণে ভেদাভেদ, পরিত্যাগ এবং এমনকি নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয়, যেখানে এটি নিষিদ্ধ। দেশভেদে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত আইনের পার্থক্য রয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে।

ধর্মীয় কারণে মুসলিম মহিলাদের হিজাব নিষেধাজ্ঞা প্রায়শই তাদের দৈনন্দিন জীবনে বিপাকে ফেলে। তারা যে সিদ্ধান্ত নেন তার জন্য হয়রানি, বৈষম্য এবং হেয় প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারেন। কিছু ক্ষেত্রে, ধর্মীয় পোশাক পরিধানের কারণে বিদ্যালয়ে ভর্তি, কর্মসংস্থান বা পাবলিক পরিষেবা গ্রহণ থেকেও বঞ্চিত হতে পারেন।

কিছু দেশ কেন পাবলিক জায়গায় হিজাব নিষিদ্ধ করছে? কিছু কর্মকর্তা বলেন যে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা সেকুলারিজম বজায় রাখতে এবং ধর্মীয় চরমপন্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজন। তারা মনে করেন যে প্রকাশ্যে ধর্মীয় পোশাক পাবলিক ভবনে পরিধান করা রাষ্ট্রের নিরপেক্ষতা এবং সামাজিক সংহতির মূল্যবোধকে চ্যালেঞ্জ করে।

হিজাব নিষেধের ফলে বিশ্বজুড়ে সংগঠন, সরকার এবং মানুষের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেক মানবাধিকার সংগঠন এবং ধর্মীয় সংস্থা কাজাখস্তানের ধর্ম ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করার অভিযোগ এনেছে। কিছু দেশ মুসলিম মহিলাদের অধিকারের উপর এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং এমন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়।